নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর একটি এবং মুমিনের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর একটি এবং মুমিনের জীবনকে সঠিক পথে
পরিচালিত করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এটি আল্লাহর সাথে বান্দার
সরাসরি যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ আমাদের অন্তরকে পবিত্র করে, গুনাহ থেকে দূরে রাখে এবং
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ প্রশস্ত করে। নামাজ কেবল একটি ইবাদত
নয়, বরং এটি জীবনযাত্রাকে শৃঙ্খলিত করে, ধৈর্য ও আত্মসংযমের শিক্ষা
দেয়। তাই একজন মুসলিমের জন্য নামাজ কখনোই অবহেলার বিষয় নয়; বরং
নামাজই হলো দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্যের চাবিকাঠি।
নিচে বিস্তারিত নামাজ পড়ার নিয়ম (২, ৩ ও ৪ রাকাত) দেওয়া
হলো
১. নিয়ত করা : মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অজু করার নিয়ত করবেন।
২. বিসমিল্লাহ পড়া : অজু শুরু করার আগে বলবেন: بِسْمِ اللهِ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি
৩. হাত ধোয়া : কব্জি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ভালোভাবে ধুতে হবে।
৪. কুলি করা : মুখে পানি নিয়ে তিনবার কুলি করবেন।
৫. নাক পরিষ্কার করা : নাকে পানি টেনে নিয়ে তিনবার পরিষ্কার করবেন।
৬. মুখ ধোয়া : কপাল থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কান থেকে আরেক কান পর্যন্ত পুরো মুখ তিনবার ধুতে হবে।
৭. হাত ধোয়া : ডান হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধোবেন, তারপর বাম হাত একইভাবে।
৮. মাথা মাসেহ করা : ভেজা হাতে মাথার সামনের দিক থেকে পিছনের দিক পর্যন্ত একবার মাসেহ করবেন।
৯. কান মাসেহ করা : ভেজা হাত দিয়ে দুই কান ভেতর ও বাহির মাসেহ করবেন।
১০. পা ধোয়া : ডান পায়ের আঙুল থেকে টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধোবেন, তারপর বাম পা একইভাবে।
🌸 অজুর দোয়া , অজু শেষ করার পর পড়ার দোয়া:
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
🔹 এছাড়া অজুর পর এ দোয়াটিও পড়া যায়:
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ্আ’লনী মিনাত্-তাওয়্বাবীন, ওয়াজ্আ’লনী মিনাল-মুতাতাহ্হিরীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
প্রথমে মনে মনে নিয়ত করবেন, মুখে এভাবে পড়া যায়—
অর্থ : আমি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখী হয়ে দুই (অথবা তিন/চার) রাকাত ফরজ/সুন্নত/নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম।
নামাজ শুরু হবার পর হাত নামিয়ে বসার আগে, প্রথম রাকাতের শুরুতে
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, তোমার প্রশংসা তোমারই জন্য, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মহিমা মহান, তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।
প্রতিটি রাকাতের দাঁড়িয়ে পড়া (কিয়াম) অংশে
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক। পরম করুণাময়, অতিশয় দয়ালু। বিচার দিনের মালিক। আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য চাই। আমাদের সরল পথে পরিচালিত করো—তাদের পথে যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো, তাদের পথে নয় যাদের উপর তোমার গজব নাযিল হয়েছে, আর নয় পথভ্রষ্টদের পথে।
রুকু থেকে উঠার সময়, হাত কাঁধ পর্যন্ত তুলতে পারেন
অর্থ : আল্লাহ শুনেন সেই বান্দার প্রশংসা, যে তাঁকে প্রশংসা করে।
এরপর পড়বেন
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা। (বুখারি)
দুই সিজদার মাঝের বসার সময় পড়বেন
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন।
এছাড়া বড় দোয়া পড়তে পারেন
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে হেদায়েত দিন, আমার অভাব পূরণ করুন, আমাকে সুস্থতা দিন, আমাকে রিযিক দিন এবং আমাকে মর্যাদা দিন।
২য় রাকাতের শেষে (২ রাকাতের নামাজ), বা ৪ রাকাতের শেষের আগে বসে পড়বেন
অর্থ : সমস্ত ইবাদত, দোয়া ও পবিত্র কাজ আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর দয়া ও বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ও আল্লাহর সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
শেষ তাশাহহুদে বসে পড়বেন
অর্থ : হে আল্লাহ! দয়া বর্ষণ করুন মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেমন তুমি দয়া বর্ষণ করেছো ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয়, মহিমাময়। হে আল্লাহ! বরকত দাও মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গকে, যেমন তুমি বরকত দিয়েছো ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গকে। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয়, মহিমাময়।
দরুদ ইব্রাহিমি পড়ার পর শেষ দোয়া হিসেবে পড়বেন
অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
🔹 নবী ﷺ এর অন্য দোয়া:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, হে আমাদের রব, এবং তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর।
🔹 আরেকটি সহীহ দোয়া:
سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ
উচ্চারণ: সুব্বূহুন কুদ্দূসুন, রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়ার-রূহ
অর্থ : পরম পবিত্র, পরম পবিত্র, তিনি ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাইল আলাইহিস সালাম)-এর রব।
🔹 আরেকটি গভীর দোয়া:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, হে আমাদের রব, এবং তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর।
🔹 আরেকটি দোয়া:
سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ
উচ্চারণ: সুবহানা জিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল আযামাহ
অর্থ : পবিত্র তিনি, যিনি শক্তির অধিকারী, যিনি মালাকুতের (সৃষ্টিজগতের) মালিক, যিনি মহিমা ও মহত্ত্বের অধিকারী।
🕌 তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
সময়:
🔹 ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময় হলো তাহাজ্জুদের সময়।
🔹 তবে সবচেয়ে উত্তম হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া (অর্থাৎ ভোরের আগে কিছু সময়)।
ঘুম:
🔹 অন্তত অল্প সময় ঘুমিয়ে নিয়ে উঠার পর পড়া হলে সেটাই আসল তাহাজ্জুদ।
🔹 তবে কেউ যদি না ঘুমায়, ইশার পর থেকে ফজর পর্যন্ত নামাজ পড়লেও ইনশাআল্লাহ নফল ইবাদত হবে।
রাকআত সংখ্যা:
🔹 সর্বনিম্ন ২ রাকআত।
🔹 নবীজি ﷺ সাধারণত ৮ রাকআত (কখনও ১১ বা ১৩ সহ বিতরসহ) পড়েছেন।
🔹 ইচ্ছা করলে ২ রাকআত করে যত চান পড়তে পারবেন।
নিয়ত:
🔹 মনে মনে নিয়ত করবেন “আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য”।
🔹 মুখে নিয়ত বলা লাগবে না।
পড়ার পদ্ধতি:
🔹 প্রতিটি রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়বেন।
🔹 তারপর কুরআনের অন্য সূরা/আয়াত পড়বেন (দীর্ঘ হলে উত্তম)।
🔹 রুকু, সেজদা সব স্বাভাবিকভাবেই হবে।
🌟 তাহাজ্জুদের উপকারিতা 🌟
🔹 আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ।
🔹 দোয়া কবুলের সর্বোত্তম সময় (আল্লাহ নিজেই শেষ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং ডাকেন: “কেউ কি ক্ষমা চাইছে? আমি তাকে ক্ষমা করব।” – সহীহ বুখারী)।
🔹 গোনাহ মাফ হয়, রিজিক বৃদ্ধি হয়।
🔹 মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয় (আল্লাহর নূর দান করেন)।
🔹 দুনিয়া ও আখিরাতের চিন্তা দূর হয়, অন্তরে প্রশান্তি আসে।
🔹 কিয়ামতের দিনে বিশেষ মর্যাদা ও জান্নাতের উচ্চ স্থান লাভ হবে।
➡️ বিতর নামাজ হলো ইশার নামাজের পর আদায় করতে হয়।
➡️ এটি অন্তত ১ রাকাত, কিন্তু সাধারণত ৩ রাকাত পড়া হয় (বেশি হলে ৫, ৭, ৯ – বেজোড় সংখ্যা)।
👉 ৩ রাকাত বিতরের নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করবেন – “আমি তিন রাকাত বিতর ওয়াজিব নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করার নিয়ত করলাম।”
প্রথম দুই রাকাত স্বাভাবিক নামাজের মতো পড়বেন (সুরা ফাতিহা + অন্য সুরা)।
তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা পড়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে হাত তুলে তাকবীর বলবেন –
"আল্লাহু আকবার" , তারপর দোয়া কুনুত পড়বেন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার সাহায্য চাই, তোমার নিকট ক্ষমা চাই, তোমার প্রতি ঈমান আনলাম এবং তোমার উপর ভরসা করলাম। আমরা তোমার প্রশংসা করি, তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং অকৃতজ্ঞ হই না। আমরা তাদেরকে ত্যাগ করি যারা তোমার অবাধ্যতা করে। হে আল্লাহ! শুধু তোমারই ইবাদত করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি ও সিজদা করি, তোমার দিকেই ছুটে যাই। আমরা তোমার রহমত কামনা করি এবং তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় তোমার কঠিন শাস্তি কাফেরদের উপরই পতিত হবে।
১. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজ শেষে পড়তেন আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে মহান।
2. এরপর আস্তাগফিরুল্লাহ ৩ বার
অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
৩. এরপর আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম দোয়া ১ বার
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি শান্তির উৎস, আপনার কাছেই শান্তি। হে মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী, আপনি বরকতময়।
৪. এরপর আয়াতুল কুরসী ১ বার
অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁকে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
৫. এরপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস ১ বার করে
অর্থ : বলুন: তিনি আল্লাহ, একক। আল্লাহ চিরন্তন, সবকিছুর ধারক। তিনি জন্ম দেননি, এবং জন্মগ্রহণ করেননি। কেউ তাঁর সমকক্ষ বা সমতুল্য নয়।
অর্থ : বলুন: আমি আশ্রয় চাই দিনের এবং রাতের প্রতিটি সৃষ্টির প্রলয়করের প্রতিকূলতা থেকে, অন্ধকারের শত্রুর ক্ষতি থেকে, গোপনভাবে যাদুকরদের প্রভাব থেকে, এবং হিংসুকের প্রতিকূলতা থেকে।
অর্থ :বলুন: আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিটি প্রভুর কাছে, মানুষের রাজা ও ইলাহের কাছে, সেই দুষ্ট বিভ্রান্তিকর শয়তানের ক্ষতি থেকে, যে মানুষের হৃদয়ে ফিসাদ এবং বিপদ সঞ্চার করে, জিন্নাত ও মানুষ উভয়ের ক্ষতি থেকে।
৬. এরপর ৩৩ বার করে সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ এবং শেষে ৩৪ বার আল্লাহু আকবার
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র 💎 সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য 💎 আল্লাহ সবচেয়ে মহান।